প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম সংস্কার ও ম্যানগ্রোভ গবেষণায় ডেনমার্কের সহায়তা কামনা করে বলেছেন, এ দুটি বিষয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারের অন্যতম।
ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শ্রম সংস্কার প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ম্যানগ্রোভ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অপরিহার্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নসহ শ্রম সংস্কার তার সরকারের সংস্কারের মূল ক্ষেত্র- এটি শ্রমিক এবং উৎপাদনকারী উভয়ের জন্যই অপরিহার্য।
ম্যানগ্রোভ নিয়ে ডেনমার্ক-বাংলাদেশ যৌথ গবেষণার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, মানুষের উচিত ম্যানগ্রোভে বিনিয়োগ করা। এটি ঝড়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা জুলাই-আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের সময় গুলিবিদ্ধ কয়েকজন গুরুতর আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ডেনমার্কের সহায়তাও চেয়েছেন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের অভিনন্দন পত্র হস্তান্তর করেন।
তিনি বিপ্লব থেকে বেঁচে যাওয়াদের জন্য ডেনিশ সমর্থন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত মোলার ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর জন্য ডেনিশ সহায়তা প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত ডেনমার্কের শিপিং এবং বন্দর ও এপিএম টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মেয়ার্স্কের ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং ঢাকার সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের মতো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগে ডেনমার্কের অব্যাহত আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংলাপের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বাসস
একে