পায়রানিউজ ডেস্ক: অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন সহযোগী অধ্যাপক। এরমধ্যে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হয়েছেন ঢাকা কলেজের ২২ জন শিক্ষক। তারা সবাই কলেজের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেমিনী সুলতানা, ফেরদৌস কায়সার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নাছির উদ্দীন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিমা খাতুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা সুলতানা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইরম জাহান, ফারিয়া সুলতানা, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল মহসিন চোকদার, আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরুন নাহার, আনোয়ার মাহমুদ, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদা সুলতানা, সালমা আকতার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নায়লা আক্তার, মো. এনামুল কবির মিয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল মমিন, শামীম আকতার, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আরশাদ হোসেন চৌধুরী, বি এম মহিবুর রহমান এবং ড. মাহবুবা খানম।
সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নায়লা আক্তার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমরা ঢাকা কলেজের মোট ২২ জন শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষকরা কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতিতে আগের চেয়েও আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে করছি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে মধ্যে অধ্যাপক পদে এটিই বড় পদোন্নতি। ১৬ থেকে ১৮তম ব্যাচ থেকে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে পদোন্নতি পাওয়া অধ্যাপকদের মধ্যে অর্থনীতির ৬০ জন, আরবির ১৩ জন, ইসলামী শিক্ষার ১৬ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ১২২ জন, ইংরেজির ৭০ জন, ইতিহাসের ৩৯ জন, উদ্ভিদবিদ্যার ১৯ জন, কৃষি বিজ্ঞানের ৫ জন, গার্হস্থ্য অর্থনীতির ৬ জন, নার্সারির ১ জন, গণিতের ৫২ জন, দর্শনের ৯৯ জন, পদার্থবিদ্যার ৫১ জন, পালির ১ জন, পরিসংখ্যানের ২ জন, প্রাণিবিদ্যার ৪৮ জন, বাংলার ৩০ জন, ব্যবস্থাপনার ৪৬ জন, ভূগোলের ১৩ জন, মনোবিজ্ঞানের ৭ জন, রসায়নের ৩৬ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৬৯ জন, সমাজকল্যাণের ১১ জন, সমাজবিজ্ঞানের ৫ জন, সংস্কৃতের ৮ জন ও হিসাবজ্ঞিানের ৬২ জন।
একে