নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা উল্টা-পাল্টা সমালোচনা করে সোহেল তাজ কী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার দায় এড়াতে চাচ্ছেন? এমন প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ নিয়ে তাঁর নানা সমালোচনায় এ প্রশ্নটিই সামনে চলে এসেছে। অথচ তিনি বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সোমবার সাংবাদিক কনক সারোয়ারের ইউটিউব চ্যানেল কনকসারোয়ারনিউজে আলাপচারিতায় অংশ নেন। এ সময়ে তিনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করেন। এক ঘণ্টা ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দীর্ঘ আলাপচারিতায় সোহেল তাজ বলেন, শেখ হাসিনা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
সোহেল তাজের কাছে কনক সারোয়ার জানতে চান যে, দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় কেন তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন? জবাবে সোহেল তাজ বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় আমি ইন্সপায়ার্ড ছিলাম যে বাংলাদেশে একটি গুণগত চেঞ্জ আসবে। একটা সিস্টেমিক চেঞ্জ আসবে। আমি সেই বিশ্বাস থেকে ইলেকশন করেছিলাম। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, বাট আই ফিল কমপ্লিটলি বিট্রেইড। আমি আস্থা রেখেছিলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর। শি বিট্রেইড মি, শি বিট্রেইড দ্য পার্টি, আওয়ামী লীগ, শি বিট্রেইড বাংলাদেশ। বিকজ আমরা যে দিনবদলের সনদ, যেটা আমরা মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম করব সেটা করতে হলে প্রথম ছয়মাসেই সেই চিত্র পাওয়া যেত। কিন্তু আমরা তো সেদিকে যাইনি, বরং গতানুগতিক পলিটিক্যাল কালচার মেইনটেন করে আমরা সেটাকে আরও ধ্বংসের পথে…।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে না; হত্যা, গুম-খুন-দুর্নীতির সঠিক বিচার হলে এমনিতেই আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। সোহেল তাজ বলেন, এত হত্যা, গুম-খুনের পরও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। আমি হতবাক!
দেশের ইতিহাসের এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঢাকার পিলখানা ট্র্যাজেডি বা বিডিআর বিদ্রোহ। এ বিষয়ে সোহেল তাজ জানিয়েছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরামর্শ না শুনে তাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন ‘আমেরিকায় বসে তুমি বেশি বুইঝো না। আমি দেখতেছি।’