স্পোর্টস ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আসামি করা হয়েছে। শুধু মামলাই নয়, তাকে দল থেকে অপসারণ করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিসিবিকে লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তবে বিসিবি সাকিবকে সব রকমের আইনি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তান সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষেও খেলছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। কিন্তু শঙ্কা জেগেছে, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে। অনেকের মনে করছেন দেশে ফিরলেই সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এবার এই মামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। যেখানে উঠে আসে সাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়টি।
জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, মামলার কারণে সাকিব কিংবা জায়েদ খান, তাদের কারো সঙ্গে কি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। আমরা বারবার মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা পুলিশকেও বলেছি, ‘আপনারা বুঝানোর চেষ্টা করেন মানুষকে যে, মামলাতে আপনি যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য কি না।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে যাদেরকে নিপীড়ক সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল, তাদের অনেক সময় সেই সৎ সাহস থাকে না, জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। যে কারণে এ ধরনের ঘটনা প্রথম দিকে ঘটেছে, এরপর আমরা চেষ্টা করেছি এবং এখন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটা ব্যক্তিগত, এটা রাষ্ট্র করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আসিফ নজরুল। তার ভাষ্য, যখন কেউ মামলা করে, মামলা করাটা মানুষের অধিকার। ব্যক্তিগতভাবে একজন মামলা করে দিল। এই মামলাগুলো পুলিশ করেনি, পুলিশ যদি করে তাহলে বুঝবেন এটার সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে। এ মামলাগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটা জিনিস সবাইকে বলার চেষ্টা করেছি, এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার না। কিছু কিছু মানুষ যখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে, এই মামলা তার নামে হওয়ার কথা না। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করি। আমরা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করি যে, পুলিশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে আপনাদের গ্রেফতার করবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে। এআরএস