বুধবার | ১৪ মে, ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা থেকে যেসব সিদ্ধান্ত এলো

নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান জরুরি বলে মনে করে বিএনপি।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় দলটির নেতারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। এবং বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করারও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এ সময় তারেক রহমান লন্ডন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভূত সংঘাত এর ঘটনাগুলোতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে পার্বত্য জেলাগুলোতে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

তা ছাড়া সভা মনে করে, পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা জরুরি। সভায় এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়া সভা মনে করে, পতিত ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মতো ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণমাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। সভা এই সব সমাজবিরোধী এবং ঐক্য বিনাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করে।

সভায় সম্প্রতি ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একইসঙ্গে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহ্বান জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

এআরএস

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM