স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতি বছরই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি নবায়ন করে থাকে বিসিবি। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটেই ছিল সাকিব আল হাসানের নাম। তবে কিছুদিন আগেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। ফলে শুধু এক ফরম্যাটে খেলার কারণে সাকিবের বেতন অর্ধেকের বেশি কমে যাচ্ছে।
কানপুর টেস্ট শেষে কেউ ধরেছেন বাংলাদেশের বিমান, কেউ যোগ দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে। একমাত্র সাকিব আল হাসানের পথ ভিন্ন ছিল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দল ঘোষণা পর্যন্ত কানপুর টেস্টই সাকিবের শেষ বলে ধরে নেয়া যায়। সাকিবের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা শর্তের সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া এসেছে; তাতে মনে হয় না সাকিব দেশে গিয়ে অবসর নিতে পারবেন।
টাইগারদের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে যা বলেছেন, তাতে দেশে আশার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়াও যায় না। সবমিলিয়ে বিষয়টি আছে দোদুল্যমান অবস্থায়। এদিকে সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২৪ বিশ্বকাপে, কানপুর যদি শেষ টেস্ট হয় তাহলে আগামী বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির দুই সংস্করণে সাকিব আর অন্তর্ভুক্ত থাকছেন না। এতে তার বেতন কমছে অর্ধেকেরও বেশি।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তিন সংস্করণের ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে রয়েছে সাকিব। টেস্টে সাকিবের বেতন সাড়ে ৪ লাখ, ওয়ানডেতে ৪ লাখ ও টি-টোয়েন্টিতে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। কোনো ক্রিকেটারের নাম যদি তিন সংস্করণে থাকে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথম সংস্করণের শতভাগ, দ্বিতীয় সংস্করণের ৫০ ভাগ ও তৃতীয় সংস্করণের ৪০ ভাগ টাকা পেয়ে থাকেন। এই হিসেবে সাকিব প্রতি মাসে বেতন পেতেন ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া তিন সংস্করণে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচ খেলার কোটা পূরণ করলে ক্রিকেটাররা পান বাড়তি ভাতা।
এখন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে সাকিব অবসর নেয়ায় এই দুই সংস্করণের টাকা আর সাকিব পাবেন না। শুধু ওয়ানডে চুক্তির জন্য সাকিব মাসে পাবেন ৪ লাখ টাকা করে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে পারিশ্রমিক ক্রিকেটার হিসেবে নাম ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে এই জায়গাটা এখন টাইগার অধিনায়ক শান্তর দখলে। তিন সংস্করণে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা শান্তর বেতন ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তার সঙ্গে যোগ হবে অধিনায়ক ভাতা ১ লাখ টাকা।
একে