নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ফেসবুকে ছাত্রদের সমর্থনে একাধিক পোস্ট করেছিলেন। এসব কারণে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন বলে এই শিল্পী জানিয়েছেন এক ফেসবুক পোস্টে।
যেখানে তাসরিফ খান একজন সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। পোস্টে তাসরিফ কারো নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজনদের একাংশ ধরণা করছে ওই সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার সোলায়মান সুখন। পাশাপাশি নাম এসেছে আরেক ইনফ্লুয়েন্সার তৌহিদ আফ্রিদিরও।
এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সোলায়মান সুখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি কেন একজনকে হুমকি-ধমকি দিতে যাব। আমার এই বয়সে কি এটা যায়। আমি একটা চাকরি করি। অনেক চাপ আছে। বাচ্চারা অনেক কিছু লিখছে। লিখুক। আমার আসলে আর কিছু বলার নেই।
সিনিয়র এই ইনফ্লুয়েন্সার আরও বলেন, ‘গত ১১ বছর কিন্তু আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেই গেছি। আজকে রাস্তা এমন কেন, ময়লা কেন, নদীতে দূষণ কেন, এসব কিন্তু বলেছি। হয়তো স্থান-কাল-পাত্রভেদে যে পরিমাণ বলিষ্ঠতা থাকা দরকার সেভাবে ছিল না। সেই অপারগতা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। আমি ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে ১১ জুলাই একটা পোস্ট করেছিলাম। তারপর থেকে পেশাগত জায়গা থেকে আমাদের একটা চাপ ছিল। এরপর আমি কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এ কারণে অনেকেই আমার ওপর রাগও করেছেন। অনেকেই বলেছেন, আপনি তরুণদের নিয়ে এত কথা বলেন, কিন্তু আন্দোলনে তো যুক্ত ছিলেন না। আমি এখনো কোনো কথা বলছি না। নিজে বোঝার চেষ্টা করছি। কোনটা বলা উচিত, কোনটা বলা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর মাঝে অনেক রিউমার এসেছে। তবে একটা কথা বলতে চাই, যৌক্তিক কোনো কিছুর বিরুদ্ধে থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমি ১১ তারিখ সব কিছু পরিষ্কার করেছিলাম। আমার ফেসবুক ওয়ালে এখনো সেই ভিডিও আছে। তবে ছাত্ররা যেভাবে করেছে সেভাবে কিছুই করতে পারিনি। এ জন্য কষ্ট আছে।
তাসরিফ খান অভিযোগ এনেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একটা এজেন্সি ও সরকারি সংস্থার লোকজন মিলে তার বাসার নিচে গিয়ে তাকে ওই সময়ের সরকারের পক্ষে ভিডিও করার জন্য টাকা ও হুমকি দিয়ে এসেছিলেন। এসবের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন সিনিয়র একজন ইনফ্লুয়েন্সার। ঘটনার দিন তার ডাকেই বাসার নিচে নেমে এসেছিলেন তিনি।
এসসি