স্পোর্টস ডেস্ক: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিল ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। সেই সঙ্গে ফিফার কাছে ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (আইএফএ) নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল তারা। এ ছাড়াও ফিলিস্তিন দাবি করেছিল ইসরায়েল ফুটবল দল যেন ফিফা আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে। এবার পিএফএর দুটি দাবি নিয়ে তদন্তে নামছে ফিফা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএফএর বিরুদ্ধে ওঠা বৈষম্যের অভিযোগের তদন্ত করবে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ফিফার এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে পিএফএ বলেছে, এটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ।
জুরিখে ফিফা কাউন্সিলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ, সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্লেষণ, সুপারিশ নিয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি আইএফএর বিরুদ্ধে পিএফএর বৈষম্যবিরোধী নীতি ভাঙার অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।
পরে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, এমন স্পর্শকাতর ব্যাপারটি নিয়ে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে কাজ করছে ফিফা কাউন্সিল। যা যা ঘটেছে, সেসব ব্যাপারে আমরা খুবই মর্মাহত। ভুক্তভোগীদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
সভার আগে জুরিখে ফিলিস্তিন সকার ফেডারেশনের নেতা জিব্রিল রাজৌব এবং সহসভাপতি সুশান সাহাবি ফিফা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে জিব্রিল রাজৌব বলেন, আমার বিশ্বাস এবং আশা যে ফিফা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। কাউন্সিলকে আইন মেনে কাজ করার অনুরোধ। জুরিখে গতকাল ফিফা কাউন্সিলের সভায় নেয়া সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে পিএফএ বলেছে, এটা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, গত ১১ মাস ধরে গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়ে সহস্রাধিক ব্যক্তিকে হত্যা ও আড়াই শর মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে আসেন হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
হামাসকে নির্মূলের অভিযানের কথা বলে ইসরায়েলি বাহিনী এক বছর ধরে সেখানে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে সেখানে স্থল অভিযানও চালিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
একে