নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার করার মূল দায়িত্ব কিন্তু হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। আপনাকে যদি প্রশ্ন করি যে হু আর ইউ, আপনি কে—এসব সংস্কার করছেন, সংবিধান সংস্কার করছেন। আপনি কে আসলে? আপনার স্ট্যাটাসটা কী? একটা আন্দোলন করে ছেলেরা আপনাকে বসিয়ে দিয়েছে আর আপনি সব দায়িত্ব পেয়ে গেছেন। আই ডোন্ট থিংক সো (আমি সেটা মনে করি না)। আপনাকে অবশ্যই এটা জনগণের মাঝ থেকে আনতে হবে। আর জনগণ থেকে আসার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা সব বিষয়ে, মানে তারা (সরকার) নির্বাচনের জন্য কত দিন সময় নেবে এবং সংস্কারে কত দিন। সংস্কার আমাদের কাছে অগ্রাধিকার নয়—এটা আমি পরিষ্কার করে বলছি। আমি মনে করি, নির্বাচনের জন্য যতটুকু দরকার, সেটা করুন।
৪ অক্টোবর সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে প্রথম আলো প্রশ্ন করেছিল, কিন্তু বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তাদের প্রতি জনগণের সমর্থন আছে। জবাবে তিনি বলেন, তাহলে বিপ্লবী সরকার গঠন করল না কেন। তারা এই সংবিধানের অধীনেই তো শপথ নিয়েছে। এখন নির্বাচন করার জন্য সংবিধানে যতটুকু সংশোধনী আনা দরকার, ততটুকুই তাঁরা করবেন। সেটার জন্য যদি ছয় মাস বা এক বছর লাগে, সেটা লাগুক। কিন্তু এমনটা নয় যে পুরোটাই তাঁরা করবেন। তাহলে জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কোথায়? তাঁরা যদি মনে করেন তাঁরা নিজেরাই জনগণ, আমি তো এর সঙ্গে একমত হব না।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে নির্বাচনের সময় বলা তো মুশকিল। তাঁরা বিষয়গুলো করবেন। সেখানে আমি একটা সময় বলে দিয়ে সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা তাঁদের যথেষ্ট সময় দিতে চাই। কারণ, তাঁদের তো আমরাই এনেছি। কিন্তু জনগণের পক্ষে কাজ করার সেই সুযোগটা তাঁদের নিতে হবে।