বুধবার | ২৫ জুন, ২০২৫ | ১১ আষাঢ়, ১৪৩২

গুলশান থেকে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ বিকেলে ডিবির একটি টিম সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর গুলশানের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ছিলেন। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরীর জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সালে। তার পিতৃ-ভিটা ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তিনি। তার সময়কালীন ২০০০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য পদ এবং টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন এবং বিশ্ব ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব তাঁকে আজীবন সদস্যপদ প্রদান করে।
১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ নির্বাচনী আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। ২০০৩ সালের জানুয়ারি এবং অক্টোবর মাসে তিনি কারান্তরীণ থাকেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাঁকে আখ্যায়িত করে ‘বিবেকর বন্দী’ হিসেবে। সে সময় এই সংস্থাটি তার মুক্তির দাবীতে ‘আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রচারণা চালিয়েছিল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুনর্বণ্টনের ফলে তার নির্বাচনী এলাকাটি হয় ঢাকা-৯ আসন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির শিরিন সুলতানাকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনঃরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৬ অক্টোবর ২০১৪ সালে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ২৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি তিন বছরের জন্য আইপিইউর প্রেসিডেন্ট হন।
তিনি জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক দিনের শেষের প্রকাশক ও দেশ টিভির মালিক ছিলেন।
১৭ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বন্ধুত্বের অর্ডার’-এ ভূষিত হন। ইন্টার-পার্লামেন্টারি সম্পর্কের উন্নয়ন, রাশিয়ার ফেডারেল সভা ও আইপিইউ’র মধ্যে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমঝোতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে এই পদক দেয়া হয়।

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM