নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসা থেকে নগদ ৩ কোটির বেশি টাকা এবং ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল ও তার সহযোগী মো. নুসরাত হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যার আগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ রেজাউল প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শুক্রবার দিনগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে শাহ কামালের বাসায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি মোট ৩ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার ১৬৬ টাকা। ১০০ টাকা মূল্যের ৭৪৪টি প্রাইজ বন্ডের ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা। ৩ হাজার মার্কিন ডলার, ১ হাজার ৩২০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ২ হাজার ৯৬৯ সৌদি রিয়াল, ৪ হাজার ১২২ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার, ১ হাজার ৯১৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ৩৫ হাজার কোরিয়ান মুদ্রা ও ১৯৯ চীনা মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
বাসা থেকে ৩ কোটি টাকা পাওয়া সেই সাবেক সচিব শাহ কামাল গ্রেপ্তারবাসা থেকে ৩ কোটি টাকা পাওয়া সেই সাবেক সচিব শাহ কামাল গ্রেপ্তার
তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেন, ৩ কোটি টাকার বেশি ও বিভিন্ন দেশের ১০ লাখ টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের পর অভিযান চালিয়ে সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালকে ও তার সহযোগী নুসরাত হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ দেশি- বিদেশি মুদ্রার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন। এত পরিমাণ মুদ্রার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে শাহ কামাল এবং তার সহযোগী নুসরাত হোসেনেরকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মহাখালী ডিওএইচএস এর একটি বাসা থেকে আটক করা হয়।
এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, এত টাকা দখলে রাখার মূল কারণ ও উক্ত ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার জন্য রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন।