শনিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধানের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সরকারের প্রভাবশালী ৪১ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
কমিশনে এম সরোয়ার হোসেনের করা আবেদনের বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন সেটি তার বিধি অনুযায়ী দেখবে, এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ।’
আজ রোববার সকালে দুদক চেয়ারম্যান কাছে তাঁদের তালিকা ও সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।
পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে, কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে প্রায় ৪১ জনের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আবেদনে।
সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে নাম রয়েছেন—সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের।
সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন—বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সম্পদ বেড়েছে এমন রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের কথা বলা হলেও কমিশন সেটি এগোয়নি—এমন প্রশ্নে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘দুদক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কাজ করবে। আপনারা জানেন দুদক একটি পদ্ধতিগতভাবে কাজ করে থাকে।’

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- Payra Team