রবিবার | ১৫ জুন, ২০২৫ | ১ আষাঢ়, ১৪৩২

একাত্তরের আগে আইয়ুব খানের এনএসএফ যে ভূমিকায় ছিল, এই সময়ে ছাত্রলীগ সেই ভুমিকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।ওই সময় থেকে বিগত আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন অন্যায় ও নৈরাজ্যের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেন এই নির্মাতা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারকী।
সোমবার আবরার ফাহাদ হত্যার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে তার বাবা ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের দুটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন ফারকী। সেখানে ‘কে পক্ষ, কে বিপক্ষ?’ শিরোনামে ফারুকী লিখেছেন, ‘এই যে ছবিটাতে আবরার ফাহাদের বাবাকে দেখতে পারছেন, তার চেহারার প্রত্যেকটা ভাঁজের দিকে তাকান। যে বেদনা, বিস্ময়, হতাশা দেখতে পান সেই একই হতাশা আর বেদনা হলের বারান্দায় দাঁড়ানো ছাত্রদের বডি ল্যাংগুয়েজেও দেখবেন। এই বেদনাই পরবর্তীতে ক্ষোভ হয় এই কয় বছরে। ফলে আবরার না থেকেও এই অভ্যুত্থানে ছিলেন।’
এই নির্মাতা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ন্যারেটিভ যে আর দোয়ানো যাচ্ছে না, এর কারণ হচ্ছে জনগণ দেখতে পাচ্ছে একাত্তরের আগে আইয়ুব খানের পান্ডা সংগঠন এনএসএফ যে ভূমিকায় ছিল, এই সময়ে ছাত্রলীগ চলে গেছে সেই ভুমিকায়। একাত্তরের জামায়াতের ভূমিকায় চলে গেছে আওয়ামী লীগ। যে দলটা একাত্তরে ছিল জনগণের পক্ষে, এই সময়ে এসে তাদের অবস্থান বিপরীত দিকে।’
স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে- এমনটা নয় উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আবরার ফাহাদের ঘটনাটা একটা উদাহরণ, একমাত্র না; যেটা দিয়ে আপনি বুঝবেন এককালের স্বাধীনতার পক্ষ মানেই চিরকাল তাকে স্বাধীনতার পক্ষ বলা যাবে তা না। বরং ইতিহাসের পরিহাসে স্বাধীনতার পক্ষ হয়ে যেতে পারে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। ইতিহাসের এক ট্র্যাজিডিই এটা বটে।’

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM