নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে মহাসবামেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জনসভা হতে পারে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দলীয় ব্যানারে রাজধানীতে এটি হবে জামায়াতের প্রথম সমাবেশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জামায়াতের ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার সুমন মুঠোফোনে সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, তারা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ করবেন।
তিনি বলেন, সমাবেশের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা এবং লগি-বৈঠা দিয়ে নৃসংশভাবে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশটি হতে পারে।
এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের বরাতে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে এক প্রতিবদেন বলা হয়েছে, আগামী ২৮ অক্টোবর সোমবার বেলা ২টায় ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে জামায়াতে ইসলামী।
সংবাদমাধ্যমটি জানায় ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ তাদের বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্ধারিত দিন ছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায় এবং লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে মৃত মানুষের সাথে পৈশাচিক আচরণ করে। এতে শাহাদাত বরণ করেন জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের অসংখ্য ভাই।
তিনি আরও বলেছেন, ‘সেদিন দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাসে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়। নৈরাজ্য, লুটপাটে হাজার হাজার মানুষ ও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৮ অক্টোবর থেকে আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দেশের জনগণের উপর সওয়ার হওয়ার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বাকরুদ্ধ ছিল মানুষ, গুম-খুন ও আয়নাঘর ছিল বিরোধীদল এবং ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বানোয়াট মামলা সাজিয়ে জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। চালু করা হয় ভোট ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠনের বাকশালী সংস্কৃতি।’
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ ও বাকশালী চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং শাহাদাতের চেতনা শানিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরএস