মঙ্গলবার | ১০ জুন, ২০২৫ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছে একদল তরুণ। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সংগঠন পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা এটি করেছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জেএম সেন হলে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। জামায়াতের একদল নেতাকর্মীও সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একদল নেতাকর্মী মঞ্চে উঠে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন। সংগীতটির গীতিকার চৌধুরী আবদুল হালিম। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠী কিংবা শিবিরের কেউ আজকে জেএম সেন হলে যায়নি। পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক আমার সঙ্গে আছেন। তিনিও বলছেন, তাদের কেউ সেখানে যায়নি। বিষয়টি আমরা ফেসবুক লাইভে গিয়ে জানাব।’

জামায়াতে ইসলামীর কেউ সেখানে গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যাওয়ারতো কথা নয়। আমাদের তো সেখানে গিয়ে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করার প্রশ্নই ওঠে না।’

জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখন বাসায় আছি। জামায়াত ইসলামীর কেউ জেএম সেন হলে গিয়েছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী বলেন, ‘যারা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছেন তারাও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন। পূজা উদযাপন পরিষদের অনুমতি নিয়ে তারা সেখানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছেন। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই হচ্ছে। কিন্তু এখানে কোনো সমস্যা নেই। তবুও আমরা এ বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছি। তারা অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেনকে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM