নিজস্ব প্রতিবেদক: দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিম হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রধান্য না দেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান। ওই হত্যার ঘটনাটি বিএনপির ধানমন্ডি থানার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমের নির্দেশে হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে বের হয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে আবাসন প্রতিষ্ঠান প্লেজেন্ট প্রোপার্টিজের কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুিলিশ।
ডিএমপির উপ-কমিশনার রুহুল কবির বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নিচ্ছি না, আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যে–ই হোক, তাঁর দায় থাকলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব। আমরা প্রাথমিকভাবে তাঁর (শেখ রবিউল আলম) সম্পৃক্ততা পাচ্ছি। এই ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্তে উঠে আসবে।’
রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় পুলিশ এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি— এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার জন্য ইতিমধ্যে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁর অবহেলা পেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান বলেন, জমির মালিকের সঙ্গে ও প্লেজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরও ডেভেলপার তৃতীয় পক্ষের কাছে সেটি বিক্রি করে। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাট কেনেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মামুন। মূলত তাঁর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। তবে সেই বিরোধে আবাসন কোম্পানিটি পক্ষ নেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মামুনের (তৃতীয় পক্ষ)। এটি নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত।
প্লেজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের মালিক (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বিএনপির নেতা শেখ রবিউল আলমের নির্দেশে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে। মামলার এজাহারে তাঁকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদকের ওই কর্মকর্তাকে মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয় তদন্ত করে দেখব। বিএনপি নেতা রবিউল ৩ নম্বর আসামি।’