শনিবার | ৭ জুন, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন রোগীর চিকিৎসা হবে না: ডা. নুরুন নবী

নিজস্ব প্রতিবেদক: এই মূহুর্তে ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোন রোগীর চিকিৎসা হবে না। আধা ঘণ্টা পরে চিকিৎসা দেওয়া হবে। ডাক্তারের এমন আচরণে হতবাগ রোগীর স্বজনরা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, জরুরী বিভাগে রোগী দেখার জন্য অনুরোধ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডঃ মোঃ নুরুন নবী।

ডঃ মোঃ নুরুন নবী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান আমার মামা হয়। অনলাইনে সার্স দিয়ে দেখ ওনি কে? তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং জয়পুরহাটের সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে ভয় দেখান। ছবি তুলে নিউজ করে আমার কি করতে পারিস কর দেখি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মতলুব হোসেন অসুস্থ হলে তার স্বজন, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, জাহাঙ্গীর আলম খান ও আবু রায়হান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে গুরুত্বর অসুস্থ আরও অনেক রোগী থাকলেও ডাক্তার এর কোন দেখা মেলেনি। সকল রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের সন্ধানে ছোটাছুটি করছিল।

এ সময় জরুরী বিভাগের ভিতর ডাক্তারের রুমের সামনে গিয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক সালাম দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করলে বেশকিছু রোগীর স্বজনরা ভয়ে চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। এক পর্যায়ে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং বলেন হ্যামি বগুড়ার ছল। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খানের আমি ভাগিনা হই। আমি সবাইকে দেখে নিব।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সাংবাদিক নেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদ, রেজাউল করিম রেজাসহ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, চম্পক কুমার মণ্ডল, জনি সরকার, নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান এবং জেলার অনেক সাংবাদিকরা এসে ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ তার অপসারণ চান। তারা বলেন এই প্রথম নয় ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন রোগীর স্বজন ও সাংবাদিকদের সাথে হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে। যা খুবই দুঃখজনক।

বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েলকে জানানো হলে তিনি এসে সাংবাদিক নেতাদের সাথে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা বলেন, এ কেমন ডাক্তার রে বাবা! তার উদ্ধত আচরণ দেখে মনে হয় সে মানসিক রোগে ভুগছে। এ অবস্থায় তার কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বিপদজনক। ফলে তারাও চান ওই ডাক্তারের অপসারণ।

এমএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM