অনামিকা আজম, লন্ডন (যুক্তরাজ্য) থেকে : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার অন্তরায় হয়ে এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মামলাগুলো। দেশে ফিরলে মাহমুদুর রহমানের মতো তাকে কারাবরণ করতে হতে পারে। আর এ কারনেই মামলাগুলো আইনীভাবে নিষ্পত্তি করে দেশে ফিরবেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম বলেন, তিনি (তারেক) যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই চান না আইনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হোক। সেজন্য উপযুক্ত সময়ে তিনি দেশে ফিরে যাবেন বলে আমরা মনে করি। নেতা-কর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে যাবেন এটি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। তাকে স্বাগত জানাতে লাখো কোটি মানুষ অপেক্ষা করছে।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর শিগগিরই তিনি ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন নেতা-কর্মীরা। দলটির যুক্তরাজ্য শাখার নেতারা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ‘উপযুক্ত সময়ে’ তিনি দেশে ফিরে যাবেন বলে তারা মনে করেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। তিনি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আসবেন। আশা করছি তিনি লন্ডন হয়েই যাবেন। এই দিনের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। দেশের রাজনীতিতে এখন অনেকটাই সক্রিয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশসহ দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি নিয়মিত যুক্ত হচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার, রাষ্ট্র সংস্কারসহ ও দলের পরিকল্পনা নিয়েও জানাচ্ছেন অবস্থান।
এ অবস্থায় লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় বিএনপির লাখো নেতাকর্মী। বিএনপি নেতা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের মামলাগুলো তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে এখনো বাধা। আইনি পথে মামলা মোকাবিলার কথাও বলেছেন তারা। তবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরই দেশে ফেরার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।