নিজস্ব প্রতিবেদক: আফ্রিকায় এমপক্সের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতা। সরকারি হিসেবে ডিআর কঙ্গোতে এমপক্সে মারা গেছে অন্তত ৫৫০ জন, আক্রান্ত ৩ হাজার। আফ্রিকার ১২টি দেশের বাইরে সুইডেন ও পাকিস্তানের পর এবার ফিলিপাইনে শনাক্ত হয়েছে রোগী।
এদিকে, এমপক্সের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ক্লেড ওয়ানে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সুইডেনে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নতুন মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন বিমানবন্দর ও সীমান্তে শুরু হয়েছে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা।
আফ্রিকায় এ বছর এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১৮,৭০০ মানুষ। রোগের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ক্লেড ওয়ান দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। কঙ্গো, বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া ও সুইডেনে শনাক্ত হয়েছে এই প্রাণঘাতি ভ্যারিয়েন্ট।
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার পরপরই বিশ্বে নতুন মহামারি হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে এমপক্স। আফ্রিকার ডিআর কঙ্গো ও আশপাশের এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রামক রোগ। আফ্রিকায় ভ্রমণ করা একজনের দেহে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে সুইডেনে। পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত এক ব্যক্তি। ফিলিপাইনে সোমবার একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমপক্স প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে নেওয়া হচ্ছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। দেশে কীভাবে এমপক্সের জীবাণু প্রবেশ করেছে, তা তদন্ত করছে সুইডেন সরকার। এই রোগের টিকা সংগ্রহ করছে যুক্তরাজ্য। মালয়েশিয়ার সীমান্তে প্রবেশকারীদের এমপক্স নির্ণয়ে চলছে স্ক্রিনিং।
এদিকে, পাকিস্তানে এমপক্স শনাক্তের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসার প্রস্তুতি। ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে রোগী শনাক্তে এমপক্সের পরীক্ষা করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা। তবে, ইউরোপ ও আমেরিকায় এই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রাণির সংস্পর্শ, অনিয়ন্ত্রিত শারিরীক সম্পর্ক এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এমপক্স ছড়ায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মহামারি হিসেবে এমপক্স সংক্রমিত হলেও করোনার মতো ভয়াবহ রূপ নেওয়ার শঙ্কা নেই, বলছেন তারা।