বিনোদন ডেস্ক: ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। সেখান থেকে জল গড়ায় আদালতে। শেষমেষ আদালতের রায়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন এই অভিনেত্রী।
শিল্পী সমিতির সেই নির্বাচন নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে হেরেও নিপুণ কীভাবে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসলেন তা নিয়েও বিস্তর আলাপ হয়েছে। তবে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুললেননি।
সে সময়ে চুপ থাকলেও চিত্রনায়িকা নিপুণের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকে। যাদের একজন ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির ভোটে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন। তিনি জানিয়েছেন, ভোট গণনার রাতে তার ওপর দেশের ক্ষমতাবান একজন রাজনীতিবিদ চাপ প্রয়োগ করেছিলেন নিপুণকে জেতানোর জন্য।
হারুন বলেন, ‘সেদিন রাতে একের পর এক ফোনে আমাকে ভয় দেখানো হয় যে তুলে নিয়ে যাবে। পরে একটা জায়গায় যেতে বলেন, যেখানে বড় অঙ্কের টাকা রাখা ছিল। যখন রাজি হলাম না, তখন ফলাফল নিয়ে মামলা করা হলো। সেটা চলে গেল কোর্টে। তখন নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। নানা কাণ্ডে আমাকে ছোট করা হলো, এফডিসিতে নিষিদ্ধ করা হলো।’