আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সিকিম রাজ্যে পাহাড়ধসে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিশাল একটি অংশ গুঁড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অন্যান্য স্টেশনগুলোও। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ধ্বংসের সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন স্থানীয়রা, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির
ভিডিও থেকে দেখা যায়, পাহাড়ের সামনের অংশ আচমকা কেঁপে ওঠে। এর পর গাছ-গাছালিসহ ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। পাদদেশে অবস্থিতি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরোটা ঢেকে যায় ধুলোয়। পাওয়ার স্টেশনের বৈদ্যুতিক পিলারের বেশ কয়েকটি মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। ভিডিওতে স্থানীয়দের চিৎকার করতেও শোনা যায়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বালুতারে তিস্তা নদীর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই পাওয়ার স্টেশনের ওপরের পাহাড়ধসে পড়ে। এর ফলে পাহাড় সংলগ্ন ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশনের তিস্তা স্টেজ-৫ বাঁধের পাওয়ার স্টেশন ভেঙে যায়।
জানা যায়, ওই পাহাড়ের নিচ দিয়েই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি টানেল গড়ে তোলা হয়েছিল। পহাড়ধসে পড়ার ঘটনায় ১৭ থেকে ১৮টি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তারপরও ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই ৫১০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাছাকাছি বেশ কয়েকবার পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই কেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছিল। পর পর কয়েকটি ধসের ঘটনার পর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগে থেকেই সেখানকার কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিকিমে লোনাক হ্রদ ভেঙে যে দুর্যোগ নেমে এসেছিল তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বালুতারে অবস্থিত তিস্তার এ বাঁধটি। তখনও চুংথাংয়ে অবস্থিত সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের একটি অংশ ভেসে যায় প্রবল পানির তোড়ে। তখন থেকেই তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওই স্টেজ-৫ বাঁধটি অকার্যকর ছিল।