বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র গায়েবের অভিযোগ উঠেছে বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত সিসিটিভির বেশ কয়েকটি ফুটেজ এসেছে সময় সংবাদের হাতে। যেখানে দেখা গেছে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তি, গত ৫ আগস্ট রাতে ব্যাগে করে বিসিবি কার্যালয় থেকে বেশ কিছু জিনিস সরিয়ে নেন। এ সময় তাদের নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। যদিও নথি সরানোর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
৫ আগস্ট যেদিন ছাত্র জনতার তীব্র প্রতিরোধের মুখে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা, সে রাতে বোর্ড থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে সময় সংবাদের হাতে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ৫ আগস্ট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বিসিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। কাঁধে ব্যাগ, ফোনে কথা বলছেন কারো সঙ্গে। তার উপস্থিতি নিয়ে সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি যখন বের হয়ে যাচ্ছেন তার সঙ্গে ছিল আরও দুইজন।
গত একযুগে বিসিবিতে কি চলেছে এতদিনে তার একটা ফিরিস্তি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন দর্শকরা। আলোর নীচে যেমন অন্ধকার তেমনি ক্রিকেটের চাকচিক্যের ভিড়ে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাযোশে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে একাধিক বোর্ড পরিচালকের বিরুদ্ধে। তবে এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর।
বাস্তবতা মেনে সেই রাতে বিসিবি কার্যালয়ের লাইটগুলো ছিল বন্ধ। তখন মোবাইলের আলো জ্বেলে রাত ৯টা ১৭ মিনিটে বের হয়ে যান আরও দুইজন। তাদের সঙ্গেও ছিল ব্যাগ। তারাও যখন বের হয়ে গেছেন সঙ্গ দিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।
এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবিটার দিকে নজর দেয়া যাক। রাত ৯টা চল্লিশ মিনিটে দুইটি ব্যাগ নিয়ে এক ব্যক্তি নেমে যায় লিফটে করে। যার পরিচয় বের করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ নথি ছাড়াও সেখানে ছিল নগদ অর্থ।
নথি ও অর্থ গায়েবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। যথরীতি সহজ রাস্তা বেছে নেয়া, সব করেছেন অস্বীকার।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি মিডিয়াতেই দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আসলে কখনো কথা বোলার সুযোগ হয়নি। কথা বলব।’
গত এক যুগে নিজেদের নানা অনিয়ম ঢাকাতে মরিয়া বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। গুঞ্জন আছে সেখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করছেন প্রধান নির্বাহী। তাই নতুন কমিটিতে যারা আসবেন তাদের প্রথম কাজ হবে পূর্বের কমিটির সব অনিয়মের মূল খুঁজে বের করা।