চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে অস্ত্রধারীদের গুলিতে পথচারী শহীদুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নগরীর চান্দগাঁও থানায় নিহতের ভাই শফিকুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিদুল কবির জানান, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মহিউদ্দিন ফরহাদ নামে এক ব্যক্তিকে। যিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এসরারুল হকের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
বাকি আসামিরা হলেন জালাল ওরফে ড্রিল জালাল (৪২), মো. ফরিদ (৪২), সরকারি সিটি কলেজছাত্র সংসদের ভিপি তাহসিন (২৭), এইচ এম মিঠু (৪০), জাফর (৩৮), ফিরোজ (৩৮) ও দেলায়ার (৪০)। অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় আসামিরা বহদ্দারহাট মোড়সহ আশপাশের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হাতে লাঠিসোঁটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার থেকে বাজার করে বাসায় ফেরার পথে বহদ্দারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে বিবাদীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন শহীদ। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
তথ্যমতে, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র–জনতা। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ষোলোশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিমের বাসভবনে হামলা হয়। সিটি মেয়রের বাসভবনে হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন পথচারী শহীদুল ইসলাম শহীদ। পরে তাঁকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।