বিনোদন ডেস্ক: নির্মাণের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি লাভ করে নেয়া পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম একজন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নাট্যাঙ্গনে রীতিমত বিপ্লবও ঘটিয়েছেন তিনি। বই-খাতার ব্যাকরণের নিয়ম ভেঙে নিজস্ব ঘরানা তৈরি করেছেন। তবে এই যাত্রাই কেবল একাই সাফল্যের শীর্ষে উঠেননি তিনি। সঙ্গে নিয়েছিলেন একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণদের।
স্বপ্নবাজ তরুণদের নিয়েই গড়ে তোলেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছবিয়াল। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয়। যেখানে নির্মাতা ফারুকীর সব ভাই বেরাদাররা উপস্থিত হয়েছিলেন। আর সেই দৃশ্য আবেগী করে তোলেছেন তাকে। যা তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) কয়েকটি ছবি পোস্ট করে নির্মাতা ফারুকী লিখেছেন, ‘মানুষের আয়ু কয়েক দশক মাত্র। এই ছোট জীবন লইয়া এই দুনিয়াতে আইসা দুনিয়াটাকে বুঝতে বুঝতে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাইয়া যায়। আরেকদল নতুন যাত্রী দুনিয়া বোঝার অভিযানে বাহির হয়। সংক্ষেপে এই হইলো মানুষের ইতিহাস।’
‘আমার ইতিহাসের অর্ধেকটা কাটছে আমার এই পরিবারটার সঙ্গে। যার নাম ছবিয়াল। কালকে আমাদের ২৫ বছর পূর্তির মিলনমেলা ছিল। সেখানে আমার ভাইব্রাদার-নাতি-পুতি সবাই আসছিল। আর আমার কানে বাজতেছিল পুরনো সেই দিনের কথা, লিটারেলি বাজতেছিল।’
তিনি লিখেছেন, ‘আরো আসছিলেন আমার সুপার ট্যালেন্টেড খালাত ভাই-বোনেরা। শিহাব শাহীন ভাই, তানিম নুর, অনিম, শাওকী, নুহাশ, আরিফ, শঙ্খ, রাকা, রায়হান রাফি, অনম, রেজা, কারিনা-সহ যারা আমাদের শুভেচ্ছা জানাইতে আসছেন, তাদের কৃতজ্ঞতা। অমিতাভ রেজাসহ অন্যরা যারা কাজের জন্য আসতে পারে নাই, তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা। দর্শকদের প্রতি অনেক বড় কৃতজ্ঞতা, যারা আমাদের অক্সিজেন হয়েছিলেন, আছেন। আমরা সবাই মিলেই একটা বড় পরিবার আসলে।’
সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘স্পেশাল থ্যাংকস টু মাই ভাই-ব্রাদারস ফর অরগানাইজিং দিস। অ্যান্ড আ বিগ থ্যাংকস টু তিশা ফর এভরিথিং। এই বৃহৎ পরিবার আগলে রাখার আসল কারিগর। ও জানে আমি একা চলতে পারি না। ফলে ও সারাক্ষণ উপলক্ষ খোঁজে আমাদের গ্যাদারিংয়ের। আগে এসব আয়োজনে আমি জড়িত থাকতাম। এখন তিশা আর ভাই-ব্রাদাররা আমাকে ঢুকতে দেয় না। আমি ভাই-ব্রাদারদের প্রাউড ফাদার হয়ে তাকাইয়া থাকি আর আমার চোখ ভিজে আসে। এদের ছেড়ে আমি কবরে যাব কেমনে একা?’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ছবিয়াল থেকে ‘অয়েটিং রুম’ নির্মাণ করেন ফারুকী। যা ওই সময় কোনো টেলিভিশন চ্যানেল কিনতে চায়নি। তবে ২৫ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই চিত্র একদমই বদলে গেছে। এখন তার নামের আগে যুক্ত হয়েছে বিশেষণ। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার তিনি। আর এ স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ছবিয়াল থেকে নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য ফিকশন ও ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছ ‘আয়শা মঙ্গল’, ‘প্রত্যাবর্তন’, ‘কানামাছি, ‘চড়ুইভাতি, ‘৬৯’, ‘৫১বর্তী’, ‘৪২০’। এছাড়া সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘ব্যাচেলর’, ‘টেলিভিশন’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘ডুব’, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’।