শনিবার | ২১ জুন, ২০২৫ | ৭ আষাঢ়, ১৪৩২

উত্তর গাজায় খাবার সংকটে মারা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর গাজায় ২৩ দিনে গড়াল ইসরায়েলের ভয়াবহ অবরোধ। সেই সঙ্গে একের পর এক বোমাবর্ষণ করে চলেছে দখলদার বাহিনী। অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) অক্সফামের এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের গণহারে মারতে ক্ষুধাকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে উত্তরাঞ্চলে মানুষের কাছে কোনা খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এনজিওটি।

অক্সফামের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকা বিষয়ক প্রধান মাহমুদ আলসাক্কা সতর্ক করে বলেছেন, উত্তর গাজায় কিছু ফিলিস্তিনি না খেয়ে মারা যাচ্ছেন। আগামী দিনে আরও মানুষ মারা যাবে।

তিনি বলেন, সেখানে কিছুই নেই। তারা দিনের পর দিন কোনো খাবার পাচ্ছে না। অথচ ওই এলাকার বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজার প্রায় ৯৬ শতাংশ জনগণ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। ইউনিসেফের মতে, প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৯ জন শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে না। এক বছরে অন্তত ৩৭ জন শিশু অপুষ্টি বা পানিশূন্যতায় মারা গেছে।

জাতিসংঘ বলেছে, এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৮৩ শতাংশ খাদ্য সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫০ হাজার শিশু এই বছর শেষের আগে অপুষ্টির জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

অক্সফামের এই সতর্কবার্তা এমন এক সময়ে এলো যখন ইসরায়েলি বাহিনী রোববার উত্তর গাজার আরও এলাকায় বোমা হামলা চালায় এবং মানবিক কর্মকর্তারা ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান স্থল আক্রমণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

শনিবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাঁচটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়। একটি পৃথক হামলায় বেইত লাহিয়ায় আরও ১০ জন নিহত হয়। উত্তর গাজার জাবালিয়া, বেইত হানুন এবং বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এমএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM