নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরামে বন্যার পানিতে আটকাপড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ছয়টি বোট ফুলগাজী ও পরশুরামে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তাদের আরও ছয়টি বোট এবং কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না। তবে এখন পর্যন্ত বন্যায় একজন নিহতের তথ্য জানান জেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি বন্ধ না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। এমন বন্যা তারা বিগত ৪০ বছরেও দেখেননি। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় অনেকে চৌকি উঁচু করে কোনোরকমে প্রাণ বাঁচান। কেউবা ঘরের ছাদে কিংবা টিনের ওপর উঠে রাত কাটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা ইউএনও তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে পানি এখনো বাড়ছে।
পরশুরাম উপজেলা ইউএনও আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, উপজেলার চিথলিয়া, সলিয়া ও অলকা এলাকায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। রাত থেকে ফায়ার সার্ভিস ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা ইউএনও সাইফুল ইসলাম কমল জানান, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতো পানি আগে কখনো দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
আইএফ