মঙ্গলবার | ২০ মে, ২০২৫ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওসি সায়েদ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকায় এনে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সায়েদকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
ওই দিন বিকেলেই মরদেহের স্তূপে আরও মরদেহ তোলা এবং পরে পোড়ানোর একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, বীভৎস ও নারকীয় ওই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন ওসি সায়েদ। ওই সময় তিনি ডিউটি করছিলেন সিভিল ড্রেসে। পরনে ছিল নীল রঙের পোলো শার্ট, কালো রঙের ট্রাউজার। এক হাতে ব্যান্ডেজ। ট্রাউজারের পকেটে ছিল ওয়্যারলেস সেট। প্রচণ্ড টেনশনে খেয়েছেন একের পর এক সিগারেট।

সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পরিদর্শক, উপপরিদর্শক এবং কনষ্টেবল পদের প্রত্যক্ষদর্শী ৪ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, মরদেহ ভ্যানে তোলার পূর্বপর ঘটনা জুড়ে যা কিছু ঘটেছে সকল কিছুর নেতৃত্বে ছিলেন আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।

তার নির্দেশেই মরদেহ পড়ানোর জন্য পেট্রোল জোগাড় করেছিলেন আশুলিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন ও আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনির। প্লাস্টিকের বোতলে করে আনা হয়েছিলো পেট্রোল। ৩ দফায় গাড়িটিতে ছিটানো হয় পেট্রোল।

উল্লেখ্য , ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এসআই (নিরস্ত্র) পদে পুলিশে যোগ দেওয়া এ এফ এম সায়েদ খুলনা মহানগরের ৪নং মিয়াপাড়া মহল্লার মো. ইসমাইলের ছেলে। তার পুলিশ পরিচিতি নং -বিপি-৮০০৬১৪৫৩৩৬।

এমএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM