ডেস্ক রিপোর্ট: কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও বন্যার প্রভাবে বিপর্যস্ত কুমিল্লা। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। চলমান বন্যায় কুমিল্লায় দুইদিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন বন্যার পানিতে তলিয়ে, দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবং একজন মাথায় গাছ পড়ে মারা গেছেন।
মৃতরা হলেন- নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার কেরামত আলী (৪৫), কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪), আইনজীবী সোহরাব হোসেন সোহাগ এবং লাকসামে পানিতে তলিয়ে মারা যাওয়া শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যান কেরামত আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার আগে, সকালে জেলার চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় মাথায় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনএইচ