জেলা প্রতিনিধি,রাজবাড়ী: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ফরিদপুর অঞ্চলের পরিচালক, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। সেই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। কবর থেকে এসেও মানুষ ভোট দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন। এখানে ড্যামি প্রার্থীদের অর্থ দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে রাজবাড়ী পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রাজবাড়ী জেলা শাখার আয়োজনে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির অ্যাড. মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর অঞ্চলের সহকরী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হুসাইন, ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য শামছুল ইসলাম আল বরাটী ও প্রফেসর আবদুত তাওয়াব প্রমুখ। সম্মেলনে ৫৩৭ জন ভোটারসহ আমন্ত্রিত জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা ইসলাম ব্যতীত কারো দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী নই। আমাদের জ্ঞানের উৎস হচ্ছে কোরআন। সেখানে কি বলা হয়েছে ও নবী রাসুলগণ কি কাজ করেছেন, কি বলেছেন সেটাই আমাদের ইসলাম ও আমাদেরজ্ঞানের উৎস। এর বাইরে আমরা কোনো পীর, কোনো হুজুর সাহেব কি বলেছেন, কারো কাছ থেকে কোনো কিছু নিতে চাই না। প্রত্যেক মুসলমানকে ইসলামের আদলে পরিচালিত হতে হবে। ইসলাম ব্যতীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান পরিচালনা সম্ভব না।’
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে দেশে আইনের শাসন ছিল না। বিচারের নামে দেশে প্রহসন হয়েছে। বিচারের নামে ফাঁসি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে আগামীতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৯ সালে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন হয়েছিন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অ্যাড. নূরুল ইসলাম পুনরায় জেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯ জন শূরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যারা জেলার জামায়াতের সেক্রেটারি নির্বাচিত করবেন। আগামী দুই বছর নবগঠিত কমিটি জেলার দায়িত্ব পালন করবেন।
আরএস