বৃহস্পতিবার | ১৫ মে, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব দাবি যৌক্তিক জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম তিন দিনের মধ্যে সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আমরা ভুলে যায়নি। আমাদের একটায় কষ্ট এখনও শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আপনাদের সব দাবি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নেওয়া হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা তিন কর্মদিবসে অস্বীকৃতি জানালে নাহিদ বলেন, হলের সমস্যা তো আর একদিনের মধ্যে সমাধান সম্ভব না। আমরা আপনাদের দাবির বিষয়টা দেখছি। আর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের বিষয়টা আমি আজই দেখছি।
এরআগে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের একটি আল্টিমেটাম দিব। পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দরকার তা জবিয়ানরা পায় না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় সবার শেষের আগেরটা জবি, এরপর থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা এই বৈষম্য মেনে নিবো না। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কাজই হয় নাই। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
ইউজিসির পাইলট প্রজেক্টের বিষয়ে তিনি বলেন, পাইলট প্রজেক্টের কাজ এখনো শুরু হয় নাই। তবে শুরু হলে অবশ্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েই শুরু করতে হবে।
এদিকে রাস্তা অবরোধের ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পাঁচটি মুখে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো, স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনা এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেনাবাহিনীর হাতে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এমন ঘোষণা আসতে হবে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM