স্পোর্টস ডেস্ক: রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিলো পাকিস্তান। জবাবে বাংলাদেশ ২৭ রান তুলে কোন উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে। আজ তৃতীয় দিনে দুই ওপেনার সাদমান ১২ রান এবং জাকির হাসান ১১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে জাকির ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে নেমে অধিনায়ক শান্ত ১৬ রান করে খুররমের বলে বোল্ড আউট হলে অপর ওপেনার সাদমান অভিজ্ঞ মুমিনুলকে নিয়ে ভালো একটি জুটি গড়েন। সাদমান তার অর্ধশতক পূরন করে ৫৩ রানে ক্রিজে আছেন। অপরদিকে মুমিনুল কিছুটা দ্রুত রান তুলে ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন।
লাঞ্চের বিরতিতে যাওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৪ রান। এখনো ৩১৪ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই রান টপকাতে হলে বড় জুটির বিকল্প নেই।
এর আগে, বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমেছিলো পাকিস্তান। এরপর পঞ্চম উইকেট হারানোর আগে সাড়ে তিনশ পেরোয় দলটি। দুই ব্যাটার দেখা পান সেঞ্চুরির। ছয়ে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিজওয়ান পাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির সুবাস। কিন্তু অধিনায়ক শান মাসুদের ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্তে তাকে আটকে যেতে হয়েছে অপরাজিত ১৭১ রানে। ৩১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৩৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ৩ ছক্কা। শাহিন চালিয়ে খেলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে করেন অপরাজিত ২৯ রান। ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন শান মাসুদ।
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের বোলাররা একদমই সুবিধা করতে পারেননি। রোদ ঝলমলে দিনে তাদের হতাশা বাড়িয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। প্রথম সেশনে ৯৬ রান তুলতে কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেশনে সৌদ শাকিলের উইকেট খুইয়ে তারা যোগ করে ১১৩ রান। ইনিংস ঘোষণার আগে তৃতীয় সেশনে ওঠে ৮১ রান। এ সময় পড়ে আগা সালমানের উইকেট।
অফ স্পিনার মেহেদী হাসান হাসানের কল্যাণে দিনের প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে ২৪০ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন তিনি। ২৬১ বলে ৯ চারে ১৪১ রান করে আউট হন শাকিল। তাকে ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। মিরাজের বল ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্টাম্পিং করেন তিনি।
পাকিস্তানের পুঁজি যখন চারশ ছুঁইছুঁই, তখন সাজঘরের পথ ধরেন সালমান। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। পয়েন্টে ক্যাচ নেন মিরাজ। ৩৬ বলে ১ চারে সালমানের রান ১৯।
আগের দিন সকালে বল হাতে অসাধারণ ছিলেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। সারা দিনে তারা নিয়েছিলেন দুটি করে উইকেট। সেই ধারাবাহিকতা বজায় পারেননি তারা। আরেক পেসার নাহিদ রানার লাইন ও লেংথ এদিনও ঠিকঠাক হয়নি।