নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত এনআরবিসি ব্যাংক আগামীকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার দুপুর দেড়টায় ব্যাংকের গুলশান শাখার বোর্ড রুমে এ বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠক থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পারভেজ তমাল সরে দাঁড়িয়ে তার পছন্দের কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ব্যাংকের বোর্ড সেক্রেটারি মোহাম্মদ আহসান হাবিব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ই-মেইল করে বৈঠকের তথ্য জানিয়েছেন। আহসান হাবিব হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে পদত্যাগ করে পলাতক আব্দুর রউফ তালুকদারের আপন ভগ্নিপতি। ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রউফ তালুকদারের প্রভাবে তিনি ব্যাংকটির বোর্ড সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান। কোনো ব্যাংকের পর্ষদ সচিব হতে ন্যূনতম কাজের যে অভিজ্ঞতা দরকার হয় এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
ব্যাংকের একজন পরিচালক সমকালকে জানান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব ও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ভগ্নিপতি মেজর (অব.) আহসান হাবিব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইমেইল করে পর্ষদ সভার নোটিশ দিয়েছেন। সভার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো এজেন্ডা জানানো হয়নি। তিনি শুনেছেন, এই বৈঠকে পারভেজ তমাল চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে তার অনুগত কাউকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন। একই সঙ্গে পর্ষদের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া ঋণসহ অন্যান্য বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অনেকের মতো এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম ও ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আর্জু আত্মগোপনে চলে যান। এনআরবিসি ব্যাংকেরর ঋণ অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, আলাদা কোম্পানি খুলে ব্যাংকের ব্যবসা বাগিয়ে নেওয়া, সৎ কর্মকর্তাদের মারধর করে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময় এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। মূলত পলাতক রউফ তালুকদারের ভগ্নিপতি আহসান হাবিব সব ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এআরএস