নিজস্ব প্রতিনিধি: সেনা কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনার পুনরায় তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। এ সময় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনা তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ ও যাদেরকে বিনা দোষে সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাকরিচ্যুত নায়েক সালাউদ্দিন গাজী বলেন, ‘যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি হননি তাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছিল। অনেককে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পুনঃতদন্ত চাই। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ নিরাপরাধ।
এই অবস্থায় আমরা আমাদের চাকরি ফেরত, আমাদের বেতন-ভাতা, এলপিআর কালিন অবসর ভাতা, আমাদের সন্তানদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা চাই। এ ছাড়াও দোষীদের অবিলম্বে বিচার, নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, বিডিআরকে পূর্বের নাম, পোশাক, সৎ সাহস ও প্রেরণায় নিয়ে যেতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত হাবিলদার নুরুজ্জামান বলেন, ‘২০০৮ সালে হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রতিশোধের নেশায় মেতে উঠেন। সর্বপ্রথম টার্গেট করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের দিন কালার মাইক্রোতে বিদেশি অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে পিলখানায় কারা প্রবেশ করেছিল তা খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়াও ওদিন কিলিং মিশন শেষে কাদের জন্য বিমান অপেক্ষা করল এবং তাদের সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় কেন দেখা করল তাও তদন্ত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের ষড়যন্ত্রেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। ভারত প্রতিশোধ নিতেই বেঁছে বেঁছে বিডিআরের দক্ষ সদস্য ও সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্যই সেনাবাহিনীর জওয়ানদের জীবন দিতে হয়েছিল। এআরএস