নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি দেওয়া এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে ৩৭ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়টি জানানো হয়। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে আছেন—নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রূপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল, জহিরুল ইসলাম মামুন (জ. ই. মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজী আজমল হোসেন, আনিসুর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।
এদের মধ্যে নূরুল আমিন প্রভাষ যিনি প্রভাষ আমিন নামে বেশি পরিচিত এবং ফারজানা রূপা আন্দোলন চলাকালে গণভবনে শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে উস্কানিমূলক প্রশ্ন করেছিলেন।
যেসব সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে তার মধ্যে মোজাম্মেল বাবু ও ফারজানা রূপা বর্তমানে হত্যা মামলায় জেলে রয়েছে। এছাড়া আগেই সদস্য পদ বাতিল হওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ভারতে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন এবং বর্তমানে তারা জেলে রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত এসব সদস্যদের মধ্যে আগেই সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত কোঠার সংসদ সদস্য ছিলেন।
নারীঘটিত অন্য একটি মামলায় জেলে রয়েছেন বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল।