শুক্রবার | ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিএসসিতে ত্রাণ দিতে আসা মানুষের ঢল, শুক্রবার সংগ্রহ হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে অনলাইন ও অফলাইনে সর্বমোট ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যার পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া আজ বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী সহায়তা পাওয়া যায়। আগামীকালও (শনিবার) সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গণত্রাণ কর্মসূচি চলমান থাকবে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে শুরু করে, ট্রাক, সিএনজি, রিকশা বা হাতে করে অসংখ্য মানুষ ত্রাণ নিয়ে আসছে।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন পরিবহনে করে বন্যার্তদের জন্য খাবার, জামাকাপড়, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসছে। অসংখ্য মানুষ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে এসেছে। তা ছাড়া বিকেলে বিজিবির একটি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে ত্রাণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সংগ্রহে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীকে বিরামহীনভাবে কাজ করতে দেখা যায়।
মাঝেমধ্যে ত্রাণের বহর খালি করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের এসব তদারকি করতে দেখা যায়। দিনভর বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী আসায় টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া ও গেমস রুম বিকেলেই পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টিএসসির বারান্দায় ত্রাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা শুরু হয়।
টিএসসির বারান্দাতেও ত্রাণসামগ্রী বিশাল স্তূপ লক্ষ করা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা মানব লাইন তৈরি করে টিএসসি গেট থেকে ভেতরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, সংগ্রহ করা হচ্ছে নগদ টাকাও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া তথ্য মতে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাহায্য পাওয়া মোট নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, অনলাইন মিলিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত তা এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বন্যার্তদের সাহায্যে এভাবে এগিয়ে আসবে, তা কল্পনাতীত ছিল। আমরা ভাবতেও পারিনি এত পরিমাণ ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ত্রাণ আসবে। মানুষ যতটা পারছে সাহায্য করছে। দ্রুতই ত্রাণসামগ্রী বন্যার্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
ত্রাণ পৌঁছে দিতে আসা একজন নারী বলেন, ‘আমি আজিমপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই গণত্রাণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছি। নিজের যতটুকু সামর্থ্য আমি সে অনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দেশের সব স্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছে। অসহায় মানুষের পাশে এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে দেখে অনেক ভালো লাগছে। এই শিক্ষার্থীরাই সামনের দিনে সুন্দর দেশ গড়বে বলে আমি মনে করি।’

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- Payra Team