নিজস্ব প্রতিবেদক: অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছিলেন নাসির উদ্দিন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে সচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি। সেই সময় থেকে ২০০৭ সালে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়কাল পর্যন্ত তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান।
নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব ইনশাআল্লাহ। এ দায়িত্ব যখন আসছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন— অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, জেলা ও দায়রা জজ (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুর রহমানেল মাসুদ, যুগ্মসচিব (অবসরপ্রাপ্ত) বেগম তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি তালিকা বুধবার (২০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি দপ্তরে পাঠান। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন গত ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস নির্বাচন কমিশন শূন্য ছিল।