আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জ্বর, সর্দি-কাশি, ব্যথা ও অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত ১৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সদ্য বাতিল হওয়া ওষুধগুলোর প্রত্যেকটিই অতিপরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। তাই তালিকা বের হওয়ার পর থেকে মাথায় হাত অনেকেরই। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, চলতি বর্ষার মৌসুমে ঘরে ঘরে বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথার প্রকোপ। ওষুধ কিনতে ঘন ঘন দোকানে ছুটছে অনেকেই। এর মাঝেই গত ১২ আগস্ট ১৫৬টি ওষুধ বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। যে যে ওষুধগুলো বাতিল হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিই ‘ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন’ (এফডিসি) ওষুধ।
ষে ওষুধগুলোতে নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানের সংমিশ্রণ থাকে, সেগুলোকে এফডিসি ওষুধ বলে। চলতি ভাষায় এদের ‘ককটেল’ ওষুধও বলা হয়ে থাকে। যেমন কোনো ব্যথা কমানোর ওষুধে রয়েছে ৫০ মিলিগ্রাম অ্যাসিক্লোফেন্যাক এবং ১২৫ মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল—যা দুটি আলাদা আলাদা শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবেই ওই ওষুধ একটি এফডিসি ওষুধ।
তবে এই তালিকায় এমন অনেক ওষুধও রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন নির্মাতা সংস্থাগুলো অনেক দিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী ৩৪৪টি এফডিসি জাতীয় ওষুধের মধ্যে ১৪টির উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরো ১৫৬টি ওষুধ।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এই ধরনের ককটেল ওষুধ ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ। বাজারে এ সব ওষুধের একাধিক বিকল্প রয়েছে, যা তুলনায় অনেক নিরাপদ। তাদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দেশের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী এই সব ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’
বাতিল হওয়া ওষুধের তালিকায় রয়েছে মেফেনামিক অ্যাসিড প্যারাসিটামল ইনজেকশন, সেট্রিজিন এইচসিএল প্যারাসিটামল ফেনিলেফ্রিন, লেভোসেট্রিজিন ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল প্যারাসিটামল, প্যারাসিটামল ক্লোরফেনিরামাইন ম্যালেট ফিনাইল প্রোপানোলামাইন ইত্যাদি। বাতিল হয়েছে প্যারাসিটামল, ট্রামাডল, টরিন ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধগুলোও। এআরএস