আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোয় ইউক্রেনের সমালোচনা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ সমালোচনা ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, যা ঘটছে তা একেবারেই পাগলামি। নিছক পাগলামি। রাশিয়ার শত শত মাইল ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে আমি একমত নই। আমরা কেন এটি করছি? আমরা কেবল এই যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলছি এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করছি। এটি ঘটতে দেওয়া উচিত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী টাইমের বর্ষসেরা ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়া উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে গভীরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এটি রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে কিয়েভকে সহায়তার উদ্দেশ্যে তার সর্বশেষ পদক্ষেপ ছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একের পর এক অনুরোধে জো বাইডেন মত বদলান। হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে, যা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মত বদলানোর প্রধান কারণ।
ট্রাম্প বলেছেন, প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান তিনি দ্রুতই চান। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য তিনি দিতে চাননি। তিনি টাইমকে বলেন, সাহায্য করার জন্য তার কাছে ‘দারুণ একটি পরিকল্পনা আছে’। কিন্তু তিনি যদি এখন সেটি প্রকাশ করে দেন, তবে ‘তা প্রায় অর্থহীন একটি পরিকল্পনায় পরিণত হবে’।
ইউক্রেনকে ছেড়ে দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাই। এই চুক্তিতে পৌঁছানোর একমাত্র পথ ইউক্রেনকে ছেড়ে দেওয়া নয়।
তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাদের প্রবেশের ঘটনাকে ‘খুব জটিল বিষয়’ বলে আখ্যা দেন।
চলতি বছর নির্বাচনে জিতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পর ইউক্রেন আগের মতো সহায়তা পাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।