শনিবার | ৩১ মে, ২০২৫ | ১৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সুন্দরবন ভ্রমণ কাহিনী

সৈয়দা সাবেরা ফাহমি: আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। ওই দিন আমরা রাতে রওনা করে ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সকালে খুলনা জাহাজ বন্দরে পৌছালাম। তারপর জাহাজে উঠে সুন্দরবন যাওয়ার ভ্রমণ শুরু করলাম। আমাদের জাহাজের নাম ছিল ‘বাঘ মামা’।

এবার আমাদের ভ্রমণ সাথী হল আমার দাদা ভাই নাম নূরুল্লাহ মাসুম। যাকে আমি ছোটবেলায় ‘কাঠবিড়ালি দাদা ভাই’ বলে ডাকতাম। আমার বাবা, মা আন বড় বোন ছাড়াও আমার ফুপি মুন ও ফুপা আপু। তারা দু’জনই ডাক্তার। সম্রাট দাদা ভাই, শাকিল ভাইয়া, সাথী আপু ও আমাদের গাইড।

সুন্দরবন পৌঁছে আমরা বিভিন্ন জায়গায় হাঁটতে যাই এবং যেসব জায়গায় আমরা গিয়েছি সেগুলোর সব জায়গায় ‘ওয়াচ টাওয়ার’ এবং ‘টাইগার ফার্ণ’ আছে। আমরা সুন্দরবন এসে বিভিন্ন জায়গা যেমন আন্ধারমানিক, কটকা, কচিখালি, ডিমের চর, কোকিলমনি, ত্রিকোনা আইল্যান্ড, দুবলার চর, শেখেরটেকসহ আরো অনেক জায়গায় গিয়েছি।

দুবলার চরে এসে আমি বঙ্গোপসাগরে পানিতে পা ভিজিয়েছি। আমরা যত জায়গায় গিয়েছি সব জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ ছিল, হরিণ ছিল, বানর ছিল, বন্য শুকরসহ নানা প্রজাতির পাখি ছিল। আমরা গতবার এসে যত হরিণ দেখেছিলাম এবার তারচেয়ে অনেক কম হরিণ দেখেছি। এবার আমরা কুমির দেখিনি অথচ আগেরবার কুমির আমাদের স্বাগত জানিয়েছিল।

এবার আমরা ট্রলারে করে বিভিন্ন খালে গিয়েছি। এবার আমরা টাইগার টিলা দেখার জন্য কাঁদার উপর হেটেছি। এমন কাদা ছিল যাতে সবার জুতা খয়রি হয়ে গেছে। এবার আমরা সুন্দরবনে এসে পূর্ণিমা পেয়েছি এবং পেয়েছি মহান বিজয় দিবস।

আমাদের জাহাজ চালক রাজীব ভাইয়া ছাড়াও জাহাজে যারা বিভিন্ন কাজে সাহায্য করেন তারা হলেন বাবু ভাইয়া ও রবিউল ভাইয়া। সুন্দরবনে কোকিলমনিতে সাথী আপু দিঘিতে নেমে শাপলা তুলে এনেছে। দুবলার চরে আমরা সবাই বঙ্গোপসাগরে পা ভিজিয়েছি এবং আমরা বনে মোঘলদের সময়কালের মন্দিরে দেখেছি যা রাজা প্রতাপাদিত্যের মন্দির ছিল। তারপর আমি মা, ফুপু যারা ছিল তারা সবাই হাঁটু পর্যন্ত কাঁদাতে পা রেখে রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজবাড়ী দেখতে গিয়েছিলাম।

আমরা আজ ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ রাতে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

সৈয়দা সাবেরা ফাহমি, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ ছাত্রী

 

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM