মাদারীপুর: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আক্তার সিকদার ও তার ছেলে মারুফ শিকদারকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাশের শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আক্তার শিকদারের বিরোধ চলছিল। সকালে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আক্তার শিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় আহত হন আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফসহ অন্তত ১৫ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আক্তার মেম্বারের (ইউপি সদস্য) নামে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যা মামলা। সরকার পতনের পর এলাকা থেকে চলে যান তিনি। শুক্রবার আবার নতুন করে দলবল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। মধ্যের চর এলাকার লোকজন তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। বোমা বিস্ফোরণে আক্তার ও তার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এ ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সাব্বির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।