নিজস্ব প্রতিবেদক: অসম্ভব সাহস আর হাজারো বুকের রক্তের বিনিময়ে ২০২৪–এর যুদ্ধে জয়ী হয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। সেই ছাত্র সংগঠনটির আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি চলছে আজ। কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহিদ মিনার যেন সেই আগস্টের মতোই জনসমুদ্র। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিপ্লবীরা সকাল থেকেই ছিলেন শহিদ মিনারে। শিক্ষার্থী ও জনতা সেখানে শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতা আলাদা ব্যানার নিয়ে শহিদ মিনারে হাজির হচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, শহিদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, এর মধ্যে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেউ কেউ। যখনই আমরা চিরতরে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে চাই, তখনই সুশীল বেশে কিছু ব্যক্তি ও দল বিরোধিতায় নেমে যায়। আমরা প্রয়োজনে তাদেরও প্রতিহত করব।
এ সময় ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
কর্মসূচিতে অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া আহতরাও এসেছেন। এর আগে, অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আসায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে সংগঠনটি।