নিজস্ব প্রতিবেদক: পানির স্তর না কমায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। তে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাঁধের জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, সোমবার সকাল ১০টায় ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খুলে রাখার পরও কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর হ্রাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে এক ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বর্তমানে দেড় ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে জলকপাটগুলো। এতে করে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা এখন একেবারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আজ সকাল দশটায় হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ৯২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল সকাল দশটায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৮৪ এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের জানান, আজ দুপুর থেকে দেড় ফুট করে গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩০ হাজার কিউসেক। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে পানি ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাত দশটায় বাঁধের জলকপাট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও রাতে যে কোনো ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে তা খুলে না দিয়ে পরদিন রোববার সকাল ৮টার দিকে ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। পরে ৬ ঘণ্টা ছাড়ার পর নির্দিষ্ট স্তরে পানি নেমে এলে সেদিন দুপুর ২টার দিকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।