নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় এবং তাতিবাজার সড়ক অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর তিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেন তারা। এতে গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসির (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন- সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চেনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
সায়েন্সল্যাব মোড়ে সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, একজন শিক্ষক কখনো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন না। ওনার রুমে গেলে উনি এমনভাবে চিৎকার করেছে মেয়েরা ভয়ে কান্না করে দিয়েছে। উনাকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যেহেতু উনি অন্যায় করেছে উনাকে পদে রাখবে কিনা সেটি সরকার চিন্তা করবে। আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করি, উনার দায়িত্ব থাকার যোগ্যতা নেই। উনার তো শিক্ষকতা করারই যোগ্যতা নেই। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ছি না।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবি প্রো-ভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবির কথা জানান। সেগুলো হলো- ১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। ২. সাত কলেজের শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। ৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। ৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে। ৫. সাত কলেজের ভর্তি ফিয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন একটি অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।