বুধবার | ১২ মার্চ, ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা না করলে শরিফুলকে ক্ষমা করে দিতাম: সাইফ

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ১৫ জানুয়ারির মধ্যরাতে বাড়িতে দুষ্কৃতীর ছুরিতে গুরুতর জখম হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। সেই রাতেই মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা।
দিন পাঁচেক পর গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সাইফ। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বিরাট বিপদ থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন অভিনেতা।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর নিজের আবাসনের নীচে দেহরক্ষীদের ঘেরাটোপে বীরদর্পে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল সাইফকে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী কারিনাও। সেই দৃশ্য দেখে নেটপাড়ার একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলেন, আদৌ কি আহত হয়েছিলেন সাইফ? নাকি পুরো ঘটনাই প্রচারে থাকার জন্য ছিল?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এসব ব্যঙ্গ, কটাক্ষ মিম নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাইফ আলি খান! অতিপরিচিত ছন্দে, ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘বিশ্বাস করুন, তাদের উপর আমার কোনও রাগ নেই, ঘৃণা নেই। জানতাম, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানান প্রতিক্রিয়া ধেয়ে আসবে। আর যখন ভেবেই নিয়েছিলাম এরকম কথাবার্তা হবে, তাই মাথা গরম হয়নি একটুও। ধরেই রেখেছিলাম, কিছু মানুষ একে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেবে, কেউ পরিহাস করবে কেউ বা স্রেফ রসিকতায় মাতবে। আর এসব হয় বলেই তো দুনিয়াটা রঙিন। সবাই যদি একে অপরের প্রতি দয়ালু হতেন, সহানুভূতিশীল হতেন, তাহলে পৃথিবীটা বড্ড একঘেঁয়ে হয়ে যেত।’
সামান্য থেমে সাইফ ফের বলে ওঠেন, ‘তবে এই সময়ে যা ভীষণভাবে টের পেয়েছি, তা হলো ভালবাসা। এত মানুষের ভালোবাসা। এত রকম মানুষের খোঁজ পেয়েছি জানার আমার দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, আমার মন ভাল রাখতে সাহায্য করেছে। ভরসা জুগিয়েছে। সেই অটো চালক যিনি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, চিকিৎসকের দল থেকে হাসপালাতের ওয়ার্ড বয়-এরা সবাই আমার জীবনে দেবদূত। মনে হয়েছিল, তারা ঈশ্বর প্রেরিত। আসলে, আমি বিশ্বাস করি এই দুনিয়া যতটা ভালোবাসা, দয়ায় ভরা ঠিক ততটাই ভরে রয়েছে নির্বুদ্ধিতায়। আর সব মিলিয়েই তো দুনিয়া সুন্দর।’
সাইফের জবানে ভেসে আসে আরও কথা- ‘সাড়ে ৬ ঘন্টা ধরে চলেছিল সেই অস্ত্রোপচার! আমার ঘাড়ে ৩০টা সেলাই পড়েছে, পিঠে ২৫টা। আমি বিষয়টা এভাবে দেখছি, মরে যেতে পারতাম, কিন্তু যাইনি। পঙ্গু হয়ে যেতে পারতাম কিন্তু হইনি। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাব। আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। দোষ আমার নিজের। আরও একটু নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হতে পারতাম। এই শহরে থাকতে আজও নিরাপদ বোধ করি। মুম্বাই পুলিশ অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ। আর এই ঘটনা আমার জীবন বদলে দেবে না!’
আর শরিফুল? তার বিষয়ে কী ভাবছেন সাইফ? ‘রেস’-এর নায়কের জবাব, ‘তৈমুরের মতে, ওকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত কারণ ওর বিশ্বাস লোকটা নাকি ক্ষুধার্ত ছিল তাই ঢুকে পড়েছিল। আমিও ক্ষমা করে দিতাম। যদি না ও আমাকে এভাবে ছুরি মারতো!’
মুচকি হেসে সাইফ আরও বললেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা না করলে ওকে ক্ষমা করে দিতাম। ও কেন ঢুকে পড়েছিল আমার বাড়িতে, তা বুঝেছি। কিন্তু তারপর যা করেছে তা সীমাহীন বাড়াবাড়ি!’

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM