ডেস্ক রিপোর্ট: ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে অর্ধকোটির বেশি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।
এই মুহূর্তে দেশে নেই জনপ্রিয় গায়িকা সামিনা চৌধুরী। বন্যার্তদের অসহায়ত্ব দেখে মন কাঁদছে তারও। তবে এই কঠিন সময়ে দেশবাসীর একতা মন ছুঁয়ে গেছে গায়িকার।
গণমাধ্যমকে সামিনা জানালেন, এমন বাংলাদেশই দেখতে চান সবসময়। আজ গায়িকার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সামিনা বলেন, ‘বন্যায় কবলিত মানুষদের ছবি দেখে, খবর দেখে খুব মন খারাপ। কতটা কষ্ট করছেন মানুষগুলো। কিন্তু একটা ব্যাপার সত্যিই ভালো লাগছে যে, সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছে। যা আমাকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই, এটাই প্রমাণ হয়েছে আরও একবার। এখানে সব পেশার মানুষ বন্যার্তদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ বাংলাদেশই আমরা দেখতে চাই সবসময়। দোয়া করি এ দুর্যোগ যেন দ্রুত নিরসন হয়।’ গায়িকা বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমার স্বপ্ন একটাই। সব মানুষের মধ্যে নিয়ম, শৃঙ্খলা, সততা, পরিচ্ছন্নতা থাকবে। আর রাস্তাগুলো পরিষ্কার, জ্যামবিহীন হবে। আমি স্বপ্নে এ বাংলাদেশ কল্পনা করি।’
বন্যা পরিস্থিতিতে শিল্পীদের অবস্থান প্রসঙ্গে সামিনা বলেন, ‘গান এমন একটা বিষয় যা মানুষের মনের ব্যাপার। শিল্পী ও শ্রোতা উভয়েরই মনকে সতেজ করে গান। সেক্ষেত্রে এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে গান হয় না। শিল্পীদের কাজ বন্ধ। অনেকেই কাজ করতে পারছে না। আন্দোলনের পরে সব সেক্টরে কাজ শুরু হলেও শিল্পীদের কাজ শুরু হয়নি ওভাবে। এখন আবার বন্যা। এর মধ্যে তো আর গান গাওয়া যায় না। মানুষ গান শোনার অবস্থায় নেই এখন, আর গাওয়ার মতো মানসিক অবস্থায়ও তো শিল্পীরা নেই। সবারই মন খারাপ, অসহায় মানুষদের চেহারা চোখের সামনে ভাসছে, তাদের অসহায়ত্ব, কষ্ট আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিচ্ছে।’ এআরএস