নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলার সময় লুট হওয়া বেশির ভাগ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়নি। আন্দোলনের সময় সারাদেশেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রবাজি করা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী চিহ্নিত হয়নি; উদ্ধারও হয়নি সেসব অস্ত্রশস্ত্র। আবার ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছর রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে দেওয়া অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। তাদের মধ্যে অনেকেই অতীতে অস্ত্রবাজি করে হয়েছেন বিতর্কিত। বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি ‘লাগামহীন’ থাকায় বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগ্নেয়াস্ত্র বেশি দিন বেহাত থাকলে তা সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী, উগ্র গোষ্ঠী, সুযোগসন্ধানীসহ অপরাধ জগতে চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়াসহ জনজীবনের নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এমন পরিস্থিতিতে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (গণমাধ্যম) ইনামুল হক সাগর বলেছেন, ‘৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র-গুলি জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই অস্ত্র উদ্ধারেও চালানো হবে অভিযান।’
পুলিশের ভাষ্যে, বর্তমানে দেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০। এর মধ্যে ব্যক্তির হাতে ৪৫ হাজার ২২৬; প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ হাজার ৮৪টি। ব্যক্তিগত অস্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কাছে ৭ হাজার ৫৪৯ ও বিএনপির হাতে রয়েছে ২ হাজার ৫৮৭টি। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীর কাছে এমন অস্ত্র ৭৯টি। অনেক বিতর্কিত রাজনীতিকের হাতেও বৈধর পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।
পিস্তল, রিভলবার, একনলা ও দোনলা বন্দুক, শটগান, রাইফেলসহ সবচেয়ে বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১১ হাজার ৮৯৮টি। এর পর রাজশাহীতে ৮ হাজার ৩২১, খুলনায় ৭ হাজার ৪৭৯, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৫১২, সিলেটে ৪ হাজার ৭৫৭, রংপুরে ৩ হাজার ৫৯৭, বরিশালে ২ হাজার ৬৮২ ও ময়মনসিংহে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ১১৮টি।
এসব অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, সম্প্রতি বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দ্রুত উদ্ধার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বেহাত অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হলে জনজীবনের নিরাপত্তায় তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি চালানো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেকেই চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে আন্দোলন ঘিরে ‘বিপর্যস্ত’ পুলিশের পক্ষে অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা দুরূহ।
থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট অস্ত্র-গোলাবারুদের সঠিক হিসাব দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা বিভিন্ন ইউনিট থেকে হিসাব মেলাচ্ছে। তবে জানিয়েছে, গত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের ৩ হাজার ৪টি অস্ত্র ও ২৫ হাজার ৯৭৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও অস্ত্রবাজরা অধরা: ২ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাউদ্দিন টিপুর বাসার সামনে গেলে তিনি অনুসারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। টিপুর বৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলি চালান তাঁর গাড়িচালক সুমন। এ ছবি পত্রিকায় আসার এক মাসেও অস্ত্রটি জব্দ হয়নি। সরকারের আহ্বানের পরও এটি জমা পড়েনি। টিপুর মতো সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনে ব্যবহৃত বৈধ-অবৈধ কোনো অস্ত্র এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চিহ্নিত অস্ত্রধারীদেরও আনা হয়নি আইনের আওতায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতেই তারা ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সরাসরি গুলি যারা করেছেন কিংবা প্রদর্শনের মাধ্যমে ভয় দেখিয়েছেন, সবাই ক্ষমতাসীন দলের। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা ছিল না। সরকার পতনের পর ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। হত্যা, স্থাপনা জ্বালিয়ে দেওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক পুলিশ সদস্য আত্মগোপন করেন। এর পর কর্মবিরতি শেষে কর্মস্থলে ফিরলেও কাজকর্মে স্বাভাবিক ছন্দ আসেনি। ফলে গতি পায়নি অস্ত্র উদ্ধার অভিযান।
৩ আগস্ট জামালপুরে অস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াওদের মধ্যে একজন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার ইসলাম রাফি; অন্যজন সংগঠনের কর্মী নাফিজুর রহমান তুষারকে শনাক্ত করেন স্থানীয়রা। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্য অস্ত্রধারীদের ধরা সম্ভব হয়নি। তাদের অস্ত্র বৈধ না অবৈধ, তাও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত ১২ জন অস্ত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান জামালপুর থানার ওসি মহব্বত কবির।
১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে তিনজন মারা যান। পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঁচ অস্ত্রধারীর ছবি প্রকাশ হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. দেলোয়ার, ছাত্রলীগ কর্মী এন এইচ মিঠু ও যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ বলে শনাক্ত করেন। ঘটনার ১৬ দিন পর পুলিশ মামলা দিলেও অস্ত্রধারীদের কারও নাম এজাহারে নেই। একইভাবে ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাটে শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি ছোড়ে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন ফরহাদ, মো. জালাল ও মো. তৌহিদ। এতে তিনজন মারা যান। এ ঘটনার মামলাতেও অস্ত্রধারীদের নাম রাখেনি পুলিশ। দুটি ঘটনায় নেই কোনো অস্ত্র উদ্ধার।
শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট সিলেটে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায় বেশ কিছু অস্ত্রধারীকে। তারা আওয়ামী লীগের ক্যাডার জানা গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। কোতোয়ালি থানার ওসি নুনু মিয়া জানান, অস্ত্রধারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন তারা। একই দিন রংপুরের সিটি বাজার এলাকায় কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান। হেলমেট ও মাস্ক পরা এক আওয়ামী লীগের কর্মীর ছবি পত্রিকায় এলেও কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, অস্ত্রধারী কাউকে তারা শনাক্ত করতে পারেননি। অস্ত্রও উদ্ধার করা যায়নি।
৪ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, উত্তরা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে পল্টনের বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুখে মাস্ক ও ক্যাপ পরা এক যুবকের গুলি ছোড়ার ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, ওই যুবকসহ গুলি ছোড়া অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন তারা।
খুলনায় আ’লীগের বিতর্কিতদের হাতে অস্ত্র: গত ১৫ বছরে খুলনায় রাজনৈতিক বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৫০০ জন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন। এর মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা গল্লামারী এলাকার হাফিজুর রহমান হাফিজ, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, বিতর্কিত জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজগর বিশ্বাস, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান পপলু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম খুরশিদ আহম্মেদ টোনা, তাঁর ভাই মোরশেদ আহম্মেদ মনি, খালিশপুর থানার চরেরহাট এলাকার যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, আমিনুল ইসলাম মুন্না, সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, সুলতান মাহমুদ পিন্টুসহ অনেকে অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন। খুলনা থেকে লাইসেন্স নিয়েছেন ঢাকা ও কুষ্টিয়ায় বসবাসকারী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ।
নগরীর ৮ ও জেলার ৯টি থানায় এখন পর্যন্ত কেউ লাইসেন্স স্থগিত হওয়া অস্ত্র জমা দেননি। খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা জানান, খুলনায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে ১ হাজারের মতো। গত ১৫ বছর কতগুলো ইস্যু হয়েছে, তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বগুড়ায় অস্ত্রধারী ১৮৭ জনের মধ্যে আ’লীগের ১৩৪: বগুড়ায় ১৮৭ জনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩৪ জনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। ২০০৮ সাল থেকে তারা লাইসেন্স নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য লাইসেন্সধারীরা হলেন– জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, আসাদুর রহমান দুলু, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রফিনেওয়াজ খান রবিন, নন্দীগ্রাম উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা, আদমদীঘি উপজেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, শাজাহানপুর উপজেলা সভাপতি সোহরাব হোসেন ছানু, সোনাতলা উপজেলা সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সভাপতি সেলিম খান, বগুড়া-১ আসনের সাবেক এমপি শাহাদারা মান্নান প্রমুখ। বগুড়ায় জাতীয় পার্টির সাবেক তিন এমপি শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম ওমর, নুরুল ইসলাম তালুকদার, জেলা জাসদের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৭ আসনের আসনের স্বতন্ত্র সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুরও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
এ ছাড়া ২০০৯ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত টাঙ্গাইলে ৯৫৪টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, তাঁর ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির, সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয়, সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল ও সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি– প্রত্যেকের দুটি করে অস্ত্র রয়েছে। এ সময় মুন্সীগঞ্জে ১৮৪টি, কিশোরগঞ্জে ২০০, রংপুরে ৪০৮ ও নাটোরে ৩৫০টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নাটোরের সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের নামে দুটি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান ও পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান মাসুম ও তাঁর ছোট ভাই সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুর রহমান সুমনের একটি, আওয়ামী লীগকর্মী আশফাকুল ইসলামের দুটি, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফেরদৌসুর রহমান মুক্তার একটি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল, সাবেক এমপি ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সিংড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ অনেকের নামেই অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। সূত্র: সমকাল