রবিবার | ১ জুন, ২০২৫ | ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিজিএমইএর পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি সাধারণ সদস্যদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সদস্য ও মাইশা ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল ও পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যবৃন্দ ব্যানারে। সাধারণ সদস্যদের পক্ষে অনন্ত গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান বাবলুসহ আরও বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস মালিক উপস্থিত ছিলেন।

তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে— সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় প্রভাবমুক্ত ২০ সদস্যের একটি অন্তবর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ড গঠন; অন্তবর্তীকালীন পরিচালনা বোর্ড স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ; বিজিএমইএর অতীতের সব দুর্নীতির স্বচ্ছ ও সঠিক তদন্তের জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন; শেখ হাসিনার দোসর বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ বর্তমান বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন; বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) নিহত মো. সেলিম তালুকদারসহ নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিইউএফটি) চত্বরকে শহীদ সেলিম চত্বর ঘোষণা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন হচ্ছে বিজিএমইএ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে এই পোশাক শিল্প থেকে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে এ সেক্টরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গত ৯ মার্চ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ক্ষমতায় আসে। যা সাধারণ সদস্যদের মনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান বিজিএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের পলাতক সভাপতি এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা তার আজ্ঞাবাহক। বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে এস এম মান্নান কচি ও তার দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সংগঠনটির ক্ষমতা দখল করেন। এই কাজে সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী, মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, মো. খশরু চৌধুরী, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের নিজ বাহিনীসহ সরাসরি অংশ নেয়। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীও এর সাথে জড়িত।

মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ২৭ আগস্ট অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বিজিএমইএ এর বর্তমান কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন ২ জন বিজিএমইএ এর সভাপতিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, ওই সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত একজন সহ-সভাপতিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। যা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিজিএমইএ এর সাধারণ সদস্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতা হত্যাকারী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামকে বিজিএমইএ এর সভাপতি নিয়োগ সাধারণ সদস্যরা মানে না। অবিলম্বে তার নিয়োগ বাতিল ও পরিচালনা পর্ষদকে ভেঙে দিতে হবে। এআরএস

 

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM