নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদীতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
শনিবার (৩১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রায়পুরা থানার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী তানজিনা জেরিন (২৪), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৫), তার ছেলে সাজিত (১২) ও সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ছাবিহা (১৪)।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে এমরান (২৪), জাকির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), মজিবুর রহমানের মেয়ে মিতু (১৭) ও সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম (২৮)।
আহত ও নিহতদের স্বজনরা জানান, রাজধানীর ঢাকার মিরপুর থেকে পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে মাইক্রোবাসে নরসিংদীর রায়পুরায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ৮ জন। মাইক্রোবাসটি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছালে ইটাখোলা থেকে ঢাকামুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল লাশসহ গুরুতর আহত আরও চারজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. রায়হান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে মাইক্রোবাসে আটকে থাকা অবস্থায় ড্রাইভার আনোয়ারকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকেসহ আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার রাকিব আশকারী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একে