নিজস্ব প্রতিবেদক: ফলোঅন এড়াতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১২৫ রান। তবে ৩৫ বল ব্যবধানে সাজঘরে টপ অর্ডারের ৬ ব্যাটার। স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র ২৬। ফলোঅনের সঙ্গে যোগ হয় নিজেদের সর্বনিম্ন ইনিংসে অলআউটের শঙ্কা। তবে সপ্তম উইকেটে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে ৪৯ রান সর্বনিম্ন স্কোরে অলআউটের শঙ্কা কাঁটায় বাংলাদেশ। তবে ফলোঅন এড়াতে টাইগারদের প্রয়োজন আরো ৫০ রান।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৫ রান। মেহেদী ৩৩ ও লিটন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, বোলারদের দাপটে পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। লক্ষ্য ছিল লিড নেওয়ার। তবে হতশ্রী ব্যাটিং আর ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় লিড নেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো ফলোঅনের আশঙ্কায় সফরকারীরা।
দিনের শুরুতে থেকে অস্বস্তিতে ভুগছিলেন জাকির। ব্যক্তিগত ১ রানে খুররম শাহজাদের বলে স্কয়ার লেগে আবরার আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আরেক ওপেনার সাদমানকে সাজঘরে ফেরান খুররম। ২৩ বলে ১০ রানে বোল্ড হন বাঁহাতি এ ব্যাটার। একই ওভারে খুররমের তৃতীয় শিকার হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারে মুমিনুল হককে আউট করেন মীর হামজা। মাত্র ১৪ বলের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মীর হামজার পরের শিকার প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। সর্বনিম্ন রানের ইনিংসও চোখ রাঙাতে থাকে বাংলাদেশকে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রান, টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর।
খুররমের চতুর্থ শিকার সাকিব আল হাসান। দলীয় ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এটা খুররমের সেরা টেস্ট বোলিং ফিগার।
একে