আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের মুহুর্মুহু বোমা হামলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির। ০.৪২ বর্গকিলোমিটারজুড়ে থাকা ছোট্ট উদ্বাস্তু শিবিরটি এখন ধ্বংসস্তূপ। সেখানে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবার নেই। এরই মধ্যে নতুন করে পানি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনিনে ইসরাইলের পাঁচ দিনের সামরিক অভিযান অব্যাহত আছে। শহরের বেশিরভাগ স্থানেই এখন পানি ও বিদ্যুৎ নেই। শহরটির শরণার্থী শিবিরে ধ্বংসযজ্ঞ তীব্র হয়েছে। সেখানকার রাস্তার বড় অংশ ময়লা এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেনিন শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন।
জেনিন শহর থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের দেখা সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযান এটি। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ইসরাইলের তীব্র নিন্দা করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শিশুদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু শিশুকে টিকা দেয়া হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা করে হামাস। এছাড়াও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। হামাসের ওই হামলার প্রতিবাদে প্রায় ১১ মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
একে